স্টিভ জবস এর জীবনী

ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো - স্টিভ জবস এর জীবনী

তোমাকে খুজে বের করতে হবে তুমি কোনটা ভালোবাসো

স্টিভ জবস এর জীবনী

স্টিভ জবস ( February 24, 1955 – October 5, 2011) বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও অ্যানিমেশন স্টুডিও পিক্সারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। অ্যানিমেশন স্টুডিও পিক্সারের মাধ্যমে টয় স্টোরি, ফাইন্ডিং নিমো, মনস্টার ইনকরপোরেটেড, ওয়াল-ই, আপ-এর মতো অসাধারণ অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন। প্রযুক্তি মনা হওয়ার কারনে হোক আর যে ভাবে হোক, স্টিব জবসকে অনেক ভালো লাগে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন - ২০০৫ সালে দেওয়া স্টিভ জবস এর বক্তৃতা দিয়েই শুরু করলাম। সে বছর ১২ জুন এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই অসাধারণ ভাষান্তর করেছেন সিমু নাসের। প্রথমেই একটা সত্য কথা বলে নিই। আমি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় পাস করিনি। তাই সমাবর্তন জিনিসটাতেও আমার কখনো কোনো দিন উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এর চেয়ে বড় সত্য কথা হলো, আজকেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সবচেয়ে কাছে থেকে দেখছি আমি। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। কোনো কথার ফুলঝুরি নয় আজ, স্রেফ তিনটা গল্প বলব আমি তোমাদের। এর বাইরে কিছু নয়। আমার প্রথম গল্পটি কিছু বিচ্ছিন্ন বিন্দুকে এক সুতায় বেঁধে ফেলার গল্প। ভর্তি হওয়ার ছয় মাসের মাথাতেই রিড কলেজে পড়ালেখায় ক্ষ্যান্ত দিই আমি। যদিও এর পরও সেখানে আমি প্রায় দেড় বছর ছিলাম, কিন্তু সেটাকে পড়ালেখা নিয়ে থাকা বলে না। আচ্ছা, কেন আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লাম? এর শুরু আসলে আমার জন্মেরও আগে। আমার আসল মা ছিলেন একজন অবিবাহিত তরুণী। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। আমার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আমাকে এমন কারও কাছে দত্তক দেবেন, যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে। সিদ্ধান্ত হলো এক আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রী আমাকে দত্তক নেবেন। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে দেখা গেল, ওই দম্পতির কারোরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেই, বিশেষ করে আইনজীবী ভদ্রলোক কখনো হাইস্কুলের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। আমার মা তো আর কাগজপত্রে সই করতে রাজি হন না। অনেক ঘটনার পর ওই দম্পতি প্রতিজ্ঞা করলেন, তাঁরা আমাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন, তখন মায়ের মন একটু গলল। তিনি কাগজে সই করে আমাকে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন। এর ১৭ বছর পরের ঘটনা। তাঁরা আমাকে সত্যি সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বোকার মতো বেছে নিয়েছিলাম এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়, যার পড়ালেখার খরচ প্রায় তোমাদের এই স্ট্যানফোর্ডের সমান। আমার দরিদ্র মা-বাবার সব জমানো টাকা আমার পড়ালেখার পেছনে চলে যাচ্ছিল। ছয় মাসের মাথাতেই আমি বুঝলাম, এর কোনো মানে হয় না। জীবনে কী করতে চাই, সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এ ব্যাপারে কীভাবে সাহায্য করবে, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। অথচ মা-বাবার সারা জীবনের জমানো সব টাকা এই অর্থহীন পড়ালেখার পেছনে আমি ব্যয় করছিলাম। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং মনে হলো যে এবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। সিদ্ধান্তটা ভয়াবহ মনে হলেও এখন আমি যখন পেছন ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ডিগ্রির জন্য দরকারি কিন্তু আমার অপছন্দের কোর্সগুলো নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারলাম,

কোনো বাধ্যবাধকতা থাকল না, আমি আমার আগ্রহের বিষয়গুলো খুঁজে নিতে লাগলাম।


পুরো ব্যাপারটিকে কোনোভাবেই রোমান্টিক বলা যাবে না। আমার কোনো রুম ছিল না, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে ঘুমোতাম।


ব্যবহূত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে আমি পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতাম, যেটা দিয়ে খাবার কিনতাম।


প্রতি রোববার রাতে আমি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য।
এটা আমার খুবই ভালো লাগত। এই ভালো লাগাটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
রিড কলেজে সম্ভবত দেশে সেরা ক্যালিগ্রাফি শেখানো হতো সে সময়।
ক্যাম্পাসে সাঁটা পোস্টারসহ সবকিছুই করা হতো চমত্কার হাতের লেখা দিয়ে।
আমি যেহেতু আর স্বাভাবিক পড়ালেখার মাঝে ছিলাম না, তাই যে কোনো কোর্সই চাইলে নিতে পারতাম।


আমি ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেরিফ ও স্যান সেরিফের বিভিন্ন অক্ষরের মধ্যে স্পেস কমানো-বাড়ানো শিখলাম, ভালো টাইপোগ্রাফি কীভাবে করতে হয়, সেটা শিখলাম।
ব্যাপারটা ছিল সত্যিই দারুণ সুন্দর, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা আর্ট। আমি এর মধ্যে মজা খুঁজে পেলাম।
এ ক্যালিগ্রাফি জিনিসটা কোনো দিন বাস্তবজীবনে আমার কাজে আসবে—এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ১০ বছর পর আমরা যখন আমাদের প্রথম ম্যাকিন্টোস কম্পিউটার ডিজাইন করি,


তখন এর পুরো ব্যাপারটাই আমার কাজে লাগল। ওটাই ছিল প্রথম কম্পিউটার, যেটায় চমত্কার টাইপোগ্রাফির ব্যবহার ছিল।
আমি যদি সেই ক্যালিগ্রাফি কোর্সটা না নিতাম, তাহলে ম্যাক কম্পিউটারে কখনো নানা রকম অক্ষর (টাইপফেইস) এবং আনুপাতিক দূরত্বের অক্ষর থাকত না।
আর যেহেতু উইন্ডোজ ম্যাকের এই ফন্ট সরাসরি নকল করেছে, তাই বলা যায়, কোনো কম্পিউটারেই এ ধরনের ফন্ট থাকত না।
আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়তাম, তাহলে আমি কখনোই ওই ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হতাম না এবং কম্পিউটারে হয়তো কখনো এত সুন্দর ফন্ট থাকত না।
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে এক সুতায় বাঁধা অসম্ভব ছিল, কিন্তু ১০ বছর পর পেছনে তাকালে এটা ছিল খুবই পরিষ্কার একটা বিষয়।
আবার তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সুতায় বাঁধতে পারবে না।
এটা কেবল পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় ভবিষ্যতে গিয়ে একটা অর্থবহ জিনিসে পরিণত হবেই।
তোমার ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু না কিছু একটার ওপর তোমাকে বিশ্বাস রাখতেই হবে। এটা কখনোই আমাকে ব্যর্থ করেনি, বরং উল্টোটা করেছে।
আমার দ্বিতীয় গল্পটি ভালোবাসা আর হারানোর গল্প।


MD.Masum Billah
অভিজ্ঞতা বিনিময় সম্ভাবনা বাড়ায় : মার্ক জাকারবার্গ
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ১৯৮৪ সালের ১৪ মে। তিনি মাত্র ২০ বছর বয়সে চালু করেন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তিনি লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি। ফোর্বস সাময়িকী ঘোষিত ৩০-এর কম বয়সী সফল ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে (২০১১) জাকারবার্গের নাম।
ফেসবুক নিয়ে আসলে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীকে আরও উন্মুক্ত, আরও সংযুক্ত করা। ব্যাপারটা এমন, যখন মানুষ তার কাছের সব মানুষের সঙ্গে যুক্ত থাকে আর পুরো প্রক্রিয়াটা এমনভাবে দাঁড় করানো হয় যে তারা নিজেদের মনের সব কথা, নতুন চিন্তাচেতনা তার চোখে প্রিয় কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। ফলে অসংখ্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়। মানুষ নতুন জিনিস শিখবে, তার চারপাশে ঘটে যাওয়া নতুন ঘটনা, নতুন প্রযুক্তি, নতুন গান, সিনেমা—সবকিছু নিয়েই ভাববিনিময় হবে। মানুষ যখন একে অন্যের সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করবে, তখন একটা বিশাল সম্ভাবনার সূচনা হবে। তাই আমাদের ফেসবুক মিশনের একটা বড় অংশ ছিল কীভাবে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের মানুষকে সংযুক্ত করতে পারি। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় যে ৮০ কোটির বেশি মানুষ এখন ফেসবুক ব্যবহার করছে। প্রতি মাসেই এ সংখ্যা বাড়ছে। যদি সাত বছর আগের কথা চিন্তা করেন, যখন আমরা শুরু করেছিলাম—তখন আজকের এই অবস্থান আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।


মজার বিষয় হলো, আমি যখন কলেজে ছিলাম, আমরা বন্ধুরা মিলে এসব নিয়েই কথা বলতাম। আমরা প্রতি রাতে পিৎজা খেতে যেতাম আর আমাদের চারপাশে ঘটতে থাকা বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতাম। ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতাম। আমরা ভাবতাম, ভবিষ্যতে হয়তো এমন কিছু একটা আসবে, যেটা দিয়ে মানুষ তার কাছের মানুষের সঙ্গে সহজেই ভাববিনিময় করতে পারবে, যেটা একটা সামাজিক নেটওয়ার্কের মতো হবে। আমরা ভাবতাম, এ রকম নেটওয়ার্ক বানানোর জন্য নতুন কোনো প্রযুক্তি আসবে। আশ্চর্যের কথা হলো, আমরা নিজেরাই সেই সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরিতে বিশাল অবদান রাখতে পেরেছি।


সব মানুষেরই নিজেকে প্রকাশ করার একটা অন্তর্নিহিত ইচ্ছা থাকে। সব সময়ই। এটা মানুষের একটা অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই বলা চলে। আপনার বন্ধু বা কাছের মানুষদের জীবনে কী ঘটছে বা আপনার প্রিয় মানুষটির চারপাশের বিষয়গুলো আপনি নিশ্চয়ই গুরুত্ব দেন, তাই না? যেসব মানুষ সম্পর্কে আপনি আগ্রহ দেখান বা যাঁদের নিয়ে দেখান না, সবাই কোনো না কোনোভাবে আপনার সামাজিক বৃত্তে আবদ্ধ। ফেসবুক আসার আগে আপনি তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি একটা কিছু জানতেন না। ভেবে দেখুন, গত পাঁচ বছরে সামাজিক যোগাযোগ কতটা সহজ হয়েছে। এখন আপনি দ্রুত বুঝতে পারছেন কোন জিনিসটা জানা জরুরি। নতুন গান, নতুন ভালো সিনেমা দেখতে পারছেন; আপনার বন্ধুরা কী দেখেন সেটাও জানতে পারছেন। সব মিলিয়ে আপনার নিজের জীবনযাপনের ধরনই পাল্টে যাচ্ছে। এই সেবাগুলো সামনের দিনগুলোতে আরও পাল্টে যাবে, পাঁচ বছর পরে এই সেবার কতটা উন্নতি হবে, সেটা ভাবতেই আমি শিহরিত হই।


আমি মনে করি, মানুষের সামাজিক সম্পর্কের ব্যাপারটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্নতর। এখানে কোনো নির্দিষ্ট একটি সংখ্যা বলা যায় না। আমরা আমাদের ফিচারগুলো এমনভাবে তৈরি করছি, যাতে আপনি যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান, সেই ছোট ছোট গ্রুপের সঙ্গে আপনি যোগাযোগ রাখতে পারেন। ৩০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ তাদের কিছু বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য প্রতি মাসে অন্তত একবারের জন্য হলেও ফেসবুক ব্যবহার করে। আর পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু বিষয় সবার সঙ্গে শেয়ার করার মতো উপায়ও এখন আমরা দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে। আমার অনেক বন্ধুর ছোট ভাইবোন এখন হাইস্কুল অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। 

তাদের জন্য আমার প্রথম পরামর্শ হলো, প্রোগ্রামিং শেখার চেষ্টা করো। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে শুধু প্রকৌশলীদেরই নয়, প্রায় সব পেশাতেই কিছু না কিছু প্রোগ্রামিংয়ের জ্ঞান দরকার হবে। আমি যখন স্কুলে পড়তাম, তখন একজন কম্পিউটার প্রকৌশলীর বেতন যা ছিল, তা এখন ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণও হয়েছে। অর্থনীতির ধরন বদলে যাচ্ছে আর প্রযুক্তি এবং সফটওয়্যারভিত্তিক কোম্পানিগুলোই সবচেয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
ফেসবুক শুরুর গল্পের দুটো ব্যাপার উল্লেখ করার মতো। এটা নিয়ে আমার বড়সড় কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমার টাকা-পয়সাও তেমন ছিল না। 

আমি আক্ষরিক অর্থেই আমার ডরমিটরির রুমে বসে ফেসবুকের কোড 

লিখেছিলাম। ওখান থেকেই যাত্রা শুরু করেছিল ফেসবুক। মাত্র ৮৫ ডলারে আমি

 সার্ভার ভাড়া নিয়েছিলাম আর সে ভাড়াও দিতাম একটা বিজ্ঞাপন থেকে। পুরো 

ব্যাপারটারই শুরু খুব ছোট্ট একটা চিন্তা থেকে। তারপর আস্তে আস্তে সেটা বড় 

হয়ে উঠেছে। তাই আমি বলব, দুটো জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, দক্ষ প্রকৌশলী তৈরি করা, যাঁরা নিজেদের ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন। আর দ্বিতীয়ত, সেই চিন্তাগুলোকে রূপ দেওয়ার জন্য তাঁদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া। ঐতিহ্যগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্র এ দুটো দিকেই খুব ভালো। এ দেশ শিক্ষাক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং নতুন কিছু করার ঝুঁকি নিতে উৎসাহ ও স্বাধীনতা দিয়েছে।


আপনি কি এভাবে চিন্তা করেছেন, আপনি প্রতিদিন যা যা করেন, সব কাজের মধ্যে

 কোন কোন কাজ আরও আনন্দ নিয়ে, ভালোভাবে করা যায়, যখন আপনি 

সেগুলো অন্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে করেন? নিশ্চয় সব নয়, কিন্তু অনেকগুলোই 

করেন। আমরা মনে করি, ঠিক এই জায়গাটাতেই ফেসবুক ভূমিকা রাখতে পারে। 

এটা এমন একটা জায়গা, যেখানে আপনি আপনার চারপাশের বন্ধুরা কে কী 

করছে তা দেখতে পারেন। আমরা ফেসবুককে এভাবেই গড়ে তুলছি।


ফেসবুকের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, আমরা গ্রাহকদের ব্যাপারে সেই 

তথ্যগুলোই জানি, যা তাঁরা জানাতে চান। বেশির ভাগ মানুষই নিজের সবকিছু 

শেয়ার করতে চান না, কিন্তু তাঁদের হাতে যদি সেই নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয় যে তাঁরা শুধু 

তাঁদের বন্ধুদের সঙ্গে, অথবা পরিবারের সঙ্গে, অথবা খুব সুনির্দিষ্ট কিছু মানুষের 

সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন, তবে তাঁরা সেটাই করেন।


মানুষের শেখার একটি নির্দিষ্ট ধারা আছে। যখন সামাজিক যোগাযোগ প্রথম