ফ্রিল্যান্সিং কি


ফ্রিল্যান্সিং  কি


ঘরে বসেই কেউ যদি কাজ করে আয় করতে পারে তবে। সেটাই ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অন্যভাবে বলা যায়, নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে

তবে শুধু ঘরে বসেই যে কাজগুলাে করতে হয় তা কিন্তু নয়। এমনও হতে পারে যে কাজ দিচ্ছে। তার সাথে আপনার সরাসরি কোন যােগাযােগ নেই বা সে বাহিরের কোন দেশে বসেই কাজ দিচ্ছে এবং আপনি এখানে বসে কাজগুলাে করে দিচ্ছেন বিনিময়ে সে অর্থ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনার বাসা অথবা অফিস থেকেই কাজ করতে পারছেন। আর এই যে বাহির থেকে কাজের বিনিময়ে অর্থ আসছে এটাই আউটসাের্সিং।

ফ্রীল্যান্সিং কি?

ফ্রীল্যান্সিং হচ্ছে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করছেন সেটাকে বুঝায়। যেমন ধরুন একজন ফ্রীল্যান্স ফটোগ্রাফার ছবি। তুলে আয় করেন। কেউ একজন তাকে বললাে তাকে একটা প্রােগ্রামের ছবি তুলতে হবে। এখন সে চাইলে এই কাজটি করতে পারেন আবার চাইলে নাও করতে পারেন। এখানে তাকে কেউ বাধ্য করতে পারছে না কারণ সে চুক্তিবদ্ধ নয়। | এবং কোথাও চাকরিও করেছেন না। ফলে সে স্বাধীন। একজন ব্যক্তি যিনি চাইলে কাজ নিতে পারেন আবার চাইলে নাও নিতে পারেন। আর এই স্বাধীন কাজ করার ক্ষমতাই হচ্ছে ফ্রীল্যান্স।।


ফ্রিল্যান্সিং কেন?

মূলত কিছু কাজ থাকে যে কাজের জন্য কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের লােকের প্রয়ােজন হয় সাময়িক সময়ের জন্য। আর এক্ষেত্রে তারা কাজগুলাে স্বল্প সময়েই করিয়ে ফেলতে পারে। আর এরকম কাজের জন্যই মূলত ফ্রীল্যান্সার প্রয়ােজন। হতে পারে কাজগুলাে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক মাস বা বেশী হলে কয়েক বছরের জন্য। আবার এমনও হতে পারে যেকোনাে সময়ে বাতিল করে দেয়া। এছাড়াও অনেক। কারণ আছে যেকারণে ফ্রীল্যান্সার প্রয়ােজন পরে যেমন সেই কাজের জন্য পারফেক্ট কোন লােক প্রতিষ্ঠানটি আশেপাশে পাচ্ছে না অথবা যাদেরকে পাচ্ছে তাদের ডিমান্ড অনেক বেশী ইত্যাদি। তাছাড়া এই কাজগুলােতে এমন লােকদেরকেই বেশী হায়ার করা হয় যারা নির্দিষ্ট কাজেই বেশী এক্সপার্ট। যেমন ওয়েব ডিজাইন, প্রােগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি।


কারা হতে পারে ফ্রীল্যান্সার?

কাজ জানে না এমন কেউ অবশ্যই ফ্রীল্যান্সার হতে পারবে।

। কেনােনা কেউ যদি অর্থ বিনিয়ােগ করে তবে অবশ্যই সে কোন কাজের জন্যই বিনিয়ােগ করবে। আর যে সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে তাকেই পারিশ্রমিক দেয়া হবে। এখন। কথা হচ্ছে কি কাজ? ইন্টারনেট এ অনেক ধরণের কাজই করা যায়। ডিজাইন, প্রােগ্রামিং, লিখালিখি, মার্কেটিং থেকে শুরু করে প্রায় সবধরনের কাজই এখানে আছে। ফ্রীল্যান্সার | হতে হলে জাস্ট যেকোনাে এক—ি 1 ) নিতে হবে। আর ভালাে পজিশন তৈরি করতে চাইলে

হবে। কেনােনা এক্সপার্টদেরই চাহিদা সব জায়গাতেই বেশী। অর্থাৎ আপনাকে কোন একটি কাজ শিখতে হবে ফ্রীল্যান্সার হতে চাইলে।

কোথায় ফ্রীল্যান্সিং শিখবেন?

আসলে ফ্রীল্যান্সিং কোথাও শিখা সম্ভব না। আর এর প্রয়ােজনও নেই। যা শিখতে হবে তা হচ্ছে যেকোনাে একটি বিষয়ের কাজ। এক্ষেত্রে আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ বেশী সেই কাজ শিখলে সফল হওয়ার সুযােগ বেশী। আগেই বলেছি এখানে সবধরণের কাজ রয়েছে। যদি আপনি একটি দোকান দিয়ে পণ্য সেল করতে চান তবে তার সুযােগও রয়েছে। যেমন ই-কমার্স। আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে পণ্য বিক্রয় করতে পারেন, এক্ষেত্রে আপনাকে যা শিখতে হবে তা হচ্ছে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট পরিচালনা করা এবং মার্কেটিং ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক বিষয়। আবার আপনি যদি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি আগ্রহ থাকেন এবং সিভিল ডিজাইন এর প্রতি। আগ্রহ থাকে তবে আপনি ডিজাইনও করতে পারেন। আর এর জন্য আপনাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে হবে। আর যদি আপনি ভিডিও বা মিউজিক নিয়ে কাজ করতে চান। যেমন ইউটিউব এ ভিডিও আপলােড করে আয় করতে চান অথবা মিউজিক তৈরি করে বিক্রয় করতে চান তাও পারবেন। এক্ষেত্রে এই বিষয়গুলাে শিখতে হবে। ব্যাপারটি খুব সহজ, শুধু একটি কাজ শিখতে হবে। আর অফটাইমেও আপনি এই কাজগুলাে করতে পারেন। ফলে চাকরীর পাশাপাশি আপনি এই কাজগুলাে করে আয় করতে পারেন।



অনলাইন থেকে কিভাবে সহজে টাকা ইনকাম অথবা আয় করা যায় সে বিষয়ে যদি আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে আপনি এখানে যেতে পারেন এখানে যান